মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ‘এশিয়ান টাউনস্কেপ জুরিস অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’-এর ক্রেস্ট ও সনদপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ ক্রেস্ট ও সনদপত্র হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মো. হেমায়েত হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, ড. মো. আফজাল হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. ইমরুল চৌধুরী, রাজউকের সদস্য, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতি বছর যে সব শহর ও প্রতিষ্ঠান টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নিজস্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তাদের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে এশিয়ান টাউনস্কেপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ বছর এশিয়া প্যাসিফিকের ৮টি দেশ থেকে সর্ব মোট ৩৬টি প্রকল্প এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পূর্বাচল প্রকল্পও ছিল।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, সুপরিকল্পিত নগরায়নের মধ্য দিয়ে আধুনিক সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের স্থাপত্য উন্নত ও সমৃদ্ধ হিসেবে তুলে ধরতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে পাওয়া এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ অর্জন। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এ প্রকল্প পরিকল্পিত নগরায়ণের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, এ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে বোঝা যায় আমরা সঠিক পথে আছি। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। অপূর্ব স্থাপত্য নকশায় পূর্বাচল মডেল টাউন গড়ে উঠছে, যার স্বীকৃতি এ অ্যাওয়ার্ড।
এশিয়ান টাউনস্কেপ জুরি’স অ্যাওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনায় সুপরিকল্পিত প্লট বিন্যাস, পরিকল্পিত অবকাঠামোগত (রাস্তা, ব্রীজ, লেক) উন্নয়ন চিত্র, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন চিত্রসহ বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বনভূমি সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণ ও পার্ক, খেলার মাঠসহ উন্মুক্ত স্থান ও সর্বোপরি উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ ছাড়াও এ প্রতিযোগিতায় চীন ৩টি, জাপান ৩টি, কোরিয়া ৩টি, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়া ১টি করে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর হংকংয়ের ‘হংকং টেকনিক্যাল অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন ইনস্টিটিউট’-এ ওই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দি অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ডস্কেপ কনসালটেন্ট, হংকংয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে ওই অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ ও পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিক অংশগ্রহণ করেন।
ফুকুওকা এশিয়ান আরবান রিসার্চ সেন্টার, এশিয়ান হ্যাবিটাট সোসাইটি ও এশিয়ান টাউনস্কেপ ডিজাইন সোসাইটির সহায়তায় ইউএন-হ্যাবিটাট রিজিওনাল অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড দি প্যাসিফিক প্রতি বছর এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
জিসিজি/এইচজে