বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে এমন প্রকল্পগুলোর উপস্থাপন করা হয়।
এসব দেখে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা বলেন, আমি চাই এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
প্রকল্প চারটি হচ্ছে- ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভনির্মাণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়), অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্প, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্যানোরমা নির্মাণ প্রকল্প।
জানা যায়, ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যায়ে স্বাধীনতা স্তম্ভনির্মাণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজের শতকরা ৩০ শতাংশ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) আওতায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার জায়গাটি এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণস্থলে দুইটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ দানরত ১৮ ফুট দীর্ঘ একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।
অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পে ‘বীর নিবাস’ শিরোনামে ১৪ হাজার এক তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এসব ভবন মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে প্রদান করবেন।
৪ ডেসিমাল জমির ওপর ৯০০ স্কয়ার ফুট আয়তনের এসব এক একটি ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
তৃতীয় প্রকল্পের আওতায় জনগণের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র’ নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি বর্তমানে ৮১ দশমিক ৭৬ একর জমির ওপর বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে এর জন্য আরো অতিরিক্ত ৪৯ দশমিক ২৭ একর জমির প্রয়োজন পড়বে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি প্যানোরমা নির্মাণের প্রস্তাব সংক্রান্ত প্রকল্পও প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক,প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ,জ্বলানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং স্থাপত্য বিভাগের প্রধান স্থপতি এএসএম আমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হাশেম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমইউএম/এমএ