ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গি দমনে গণমাধ্যম সব সময় রিপোর্ট করেছে: তথ্যমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
জঙ্গি দমনে গণমাধ্যম সব সময় রিপোর্ট করেছে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ঢাকা ১০টি ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিআরইউয়ের সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার।

এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যাদের মুখে ভাষা নেই, তাদের ভাষা দিতে পারে।

যার কাছে ক্ষমতা নেই, তাকে ক্ষমতাবান করতে পারে। যে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না, তাকে প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং এই দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে, দায়িত্বশীলদের কোথায় দায়িত্ব পালন করা দরকার, সেটা তুলে ধরতে ভালো রিপোর্টিং অত্যন্ত সহায়ক। আপনারা সত্য বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন সবসময়।

মন্ত্রী বলেন, আজ হলি আর্টিজান হামলার রায় হয়েছে। সেখানে সাতজনের ফাঁসি হয়েছে। হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা যেভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে সংবাদপত্রে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সব সময় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছে। এই রিপোর্টগুলো ভবিষ্যতে জঙ্গি তৈরি না হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদার বলেন, প্রতিযোগিতায় মানসম্পন্ন প্রতিবেদনের সংখ্যা বাড়ছে। যারা বিজয়ী হয়েছেন এবং যারা বিজয়ী হতে পারেননি তাদের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের ব্যবধান খুবই কম। এবার যারা বিজয়ী হতে পারেনি, আগামী দিনে তারা ভালো করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

সভাপতির বক্তব্যে ইলিয়াস হোসেন বলেন, নানা অসঙ্গতি, অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টগুলো দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে দেশ উপকৃত হবে।  

ডিআরইউয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড উপ কমিটির আহ্বায়ক আফজাল বারীর সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।

এছাড়া পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন এনটিভির শফিক শাহীন ও বাংলা ট্রিবিউনের শাহেদ শফিক। এসময় জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও সিনিয়র সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এবারের বিজয়ীরা হলেন, প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরের মিজানুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষা ও স্বাস্থে ডেইলি স্টারের মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা, অনুসন্ধানে বাংলা ট্রিবিউনের শাহেদ শফিক, বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে যৌথভাবে দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন ও দৈনিক কালের কন্ঠের জিয়াদুল ইসলাম, ক্রীড়ায় দৈনিক প্রথম আলোর তারেক মাহমুদ, সাহিত্য-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যে দৈনিক সমকালের তপন দাস।

টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে সেবা খাতে এনটিভির শফিক শাহীন, অনুসন্ধানে একাত্তর টিভির আদনান খান (নয়ন আদিত্য) এবং বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে চ্যানেল ২৪ এর মোর্শেদ হাসিব হাসান।

রেডিও ক্যাটাগরিতে কোনো রিপোর্ট জমা পড়েনি।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ কার্যকরী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।