ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনলাইন নিউজপোর্টালের নিবন্ধন আগামী সপ্তাহেই: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৯
অনলাইন নিউজপোর্টালের নিবন্ধন আগামী সপ্তাহেই: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর নিবন্ধন দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোর নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম।

আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয়ে তিনহাজার ৫৯৭টি দরখাস্ত জমা পড়েছে। সেগুলো তদন্ত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম, পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ একটি সভা করেছিলাম।  

‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যতদ্রুত সম্ভব অনলাইন পোর্টালগুলোর ব্যাপারে তদন্ত শেষ করে আমাদের কাছে জানানোর জন্য যাতে আমরা নিবন্ধনের কাজটি শুরু করতে পারি। ’ 

তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তারা ইতোমধ্যে কয়েকশ’ অনলাইনের তদন্ত শেষ করেছেন, সেগুলো আজ বা কালের মধ্যে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনগুলোর নিবন্ধন দেওয়া শুরু করবো। ’

তবে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুদিন সময় লাগবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রায় তিন হাজার ৬০০ অনলাইনের তদন্ত শেষ করা তো সহজ কাজ নয় এবং কয়েকটি সংস্থা তদন্ত করছে। যে কয়টি আমরা পাবো সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করবো।  

‘নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যেগুলো নিবন্ধিত হবে না সেগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ’

ভবিষতেও অনলাইন পোর্টাল করার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেজন্য আমরা পরবর্তীতে আবার দরখাস্ত আহ্বান করবো। কারণ, এখন যে অনলাইনগুলো আছে এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে না। ভবিষতেও যে কেউ… পত্রিকা যেমন যেকোনো সময় বের করতে পারে ভবিষতেও অনলাইন বের করতে পারে।  

‘কিন্তু ভবিষতে অনলাইন পোর্টাল চালু করতে হলে সেটি একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমতির মাধ্যমে সেটি করতে হবে। এখন যেমন চাইলেই কেউ একটা পত্রিকা বের করতে পারে না, তাকে ডিক্লারেশন নিতে হয়, নামের ছাড়পত্র নিতে হয়, অনলাইনের ক্ষেত্রেও একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করেই সেই অনলাইন চালু করতে হবে। ’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, এখন তো কোনো প্রক্রিয়া অবলম্বন ছাড়া যে কেউ যেকোনো একটি অনলাইন খুলে বসে। দেখা গেল যে ঘরের মধ্যে বসে কয়েকজনে একটি অনলাইন চালায়। ভবিষতে সেটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে।

টিভি চ্যানেল-রেডিও’র অনলাইনেও অনুমতি লাগবে

টিভি চ্যানেল ও এফএম রেডিওগুলোর অনলাইন ভার্সনের জন্য অনুমতি নিতে হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য, অবশ্যই নিতে হবে। ’ 

টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যে অনলাইন চালাচ্ছে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও নিবন্ধন দিইনি। সুতরাং অনুমতি নিয়ে চালাচ্ছে এটি বলা যাবে না।  

টিভি-রেডিও’র অনলাইনের জন্য কি অনুমতি নিতে হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে কেউ অনলাইন চালালে তার জন্য অবশ্যই আবেদন করতে হবে। ’ 

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু অনলাইন পত্রিকা নয়, পত্রিকার অনলাইন ভার্সনও করা হচ্ছে। টেলিভিশনগুলোও অনলাইন চালু করেছে, সেটিরও অনুমতি নেই। সবকিছুকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরিপূর্ণ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি।  

যে অনলাইনগুলো সরকারের প্যারামিটার মানবে না সেগুলো বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা অনুমতি ব্যতিরেকে এ ধরনের অনলাইন চালু করেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু নিয়োগ দেওয়ার কোনো নিয়ম-নীতি নাই। বেশিরভাগই তারা নিজেরা চালায় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে, অনেক ক্ষেত্রে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য এবং মানুষের চরিত্র হনন ও নানাভাবে ফাঁদে ফেলে ফায়দা লুটার জন্য চালায়। এক্ষেত্রে নিয়োগকৃত কর্মীর সংখ্য খুবই সামান্য হবে বলে মনে করি।  

আইপি টিভি চালালেও অনুমতি নিতে হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।  

ছাড়পত্র পাওয়া কাগজের পত্রিকাগুলো অনলাইন করতে পারবে বলে একটি সিদ্ধান্ত ছিল জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেক্ষেত্রেও একটি নিয়ম-নীতির মধ্যে থাকা প্রয়োজন আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯/আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।