সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গণের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী।
তিনি বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ডে এখন পর্যন্ত যুদ্ধজাহাজসহ মোট ৭৩১টি জাহাজ নির্মাণ ও ২ হাজার ৩৩১টি জাহাজ মেরামতের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছে।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, সমুদ্রজয়ের ফলে প্রাপ্ত বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা ও ব্লু ইকোনমি কার্যক্রমের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বল্পমেয়াদী স্তরে নৌবাহিনীর জন্য এই পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফট নির্মাণ করা হচ্ছে। জাহাজগুলো দিয়ে উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল, চোরাচালানবিরোধী অভিযান, দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, পরিবেশদূষণ প্রতিরোধসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি সম্ভব হবে।
অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা শিপইয়ার্ডকে ১৯৯৯ সালে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। মৃতপ্রায় এ প্রতিষ্ঠান নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় আজ লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এসময় অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ডিজাইন সক্ষমতা অর্জনে খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রতি আহ্বান জানান নৌবাহিনী প্রধান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিয়েল) রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মঈনুল হক, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক ও খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম সাজেদুল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এমআরএম/একে