সম্প্রতি গিয়ে দেখা গেলো, শ্রীমঙ্গলের উপজেলার সবুজবাগের নিজ বাসায় এভাবেই ছয়টি বিড়ালছানাকে দুধ খাইয়ে বড় করে তোলার অপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন বন্যপ্রাণী ও সেবক সোহেল শ্যাম।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর ছয়টি মেছোবিড়ালের ছানাকে (Fishing Cat) রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ইমলামপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কোকো ক্যাট নামের দুধ বিড়ালজাতীয় প্রাণীদের জন্য বিশেষভাবে বানানো। একটি প্যাকেট দুধ সর্বোচ্চ তিনদিন যায়। প্রতিদিন একটু একটু করে তাদের খাবারের পরিমাণ বাড়ছে। দিন দিন দ্রুতই বেড়ে উঠছে ছানাগুলো এবং নিজেদের মধ্যে দুষ্টামিও শুরু করছে। শীতের ব্যবস্থা সম্পর্কে সোহেল বলেন, শীতে যেনো অসুস্থ না হয়ে যায় এজন্য খাঁচার ভেতর বিশেষভাবে ৪০ ওয়াটের বাল্ব দিয়ে আরামদায়ক তাপমাত্রার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আট সপ্তাহ পর্যন্ত শুধু দুধ খাওয়াতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে দুধের পাশাপাশি শক্ত খাবারে অভ্যস্ত করতে হবে।
বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী খোকন সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, আসলে বন্যপ্রাণী ছানাদের লালনপালন ব্যয়বহুল ব্যাপার। এই ব্যয়বহুল দুধের প্যাকেট দিয়ে ঢাকা থেকে সহযোগিতা করছেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী রোনাল্ড হালদার, সানজিদা জুঁই এবং মিঠু আহমেদ। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি প্যাকেট আনা হয়েছিল। এই তিন প্যাকেট শেষ। নতুন ৩ প্যাকেট আগামীকাল চলে আসবে।
‘ওয়াইল্ডে (বন্য পরিবেশে) যেটা যে তাদের মায়ের কাছ থেকে শিখে নিতো সেটা হয়তো পুরোপুরিভাবে আমাদের পক্ষে শেখানো সম্ভব নয় তবু আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখবো না। ’
এ ছানাগুলোকে ভারী খাবারের পাশাপাশি বন্যপরিবেশে যেন টিকে থাকতে পারে এজন্য শিকার করার ক্ষমতা অর্জন করাতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মরক্ষার কৌশলটিও রপ্ত করানোটাই এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলেও যোগ করেন খোকন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
বিবিবি/এএটি