বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে তিন দিনব্যাপী বুসান ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফোরাম-২০১৯ ও কার্যকর উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ১৮তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, স্বপ্নময় পৃথিবীর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেসব দেশভিত্তিক সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান ও প্রত্যেক দেশের নাগরিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব যে সম্পদ রয়েছে তা থেকে সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করা উচিৎ নয়। বাংলাদেশের সম্পদ হলো বিপুল কর্মঠ জনগোষ্ঠী। এ জনশক্তি দেশে-বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না। নজর দিতে হবে কোন দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক সমস্যা সমাধানের দিকেও। যেমন বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মিয়ানমার থেকে আগত এক মিলিয়নের মতো যে রোহিঙ্গা আছে তাদের সমস্যার আশু সমাধান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক, জর্দান ও ফিলিস্তিনের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের উৎপাদিত পণ্য চলাচলে অহেতুক বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। পরিবেশের বিপর্যয়ের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে সব প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বেশি পরিমাণে কার্বন নিঃসরণকারী দেশেগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মানব সৃষ্ট বাণিজ্য বাধা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো সমস্যা মানুষই পারবে সমাধান করতে। এসব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রত্যেক দেশ তথা বিশ্ব লাভবান হবে। আগামীর জন্য আরও সুন্দর নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করতে পারবো।
সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করণের লক্ষ্য অর্জনে অর্থমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএস/আরআইএস/