ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দলিতদের জন্য বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়নের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
দলিতদের জন্য বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়নের দাবি দলিত নারী-কিশোরীদের মানববন্ধন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ প্রণয়নসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন দলিত নারী ও কিশোরীরা। একই সঙ্গে দলিতদের ওপর নির্যাতনের সব মামলা দ্রুত বিচার আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা ও উচ্চশিক্ষা নিয়ে যেন মূলধারার পেশায় সম্পৃক্ত হতে পারেন সরকারকে সে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। 

শনিবার (৭ ডিসেস্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডেলটা ওমেন ফোরাম ও নাগরিক উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দলিত নারীদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে বৈষম্য।

সমাজে দলিত নারীরা সাধারণত দু’ভাবে বৈষম্যের শিকার হন। প্রথমত, দলিত ও নারী হিসেবে বৃহত্তর সমাজে এবং দ্বিতীয়ত নারী হিসেবে নিজ জনগোষ্ঠীতে। পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতা, বঞ্চনা ও বৈষম্যকে পেছনে ফেলে তাদের জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন। ফলে বৃহৎ সমাজের নারীরা যেখানে ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে দলিত নারীরা অনেক পেছনে পড়ে রয়েছে।  

তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশেষ করে উন্নয়নের প্রতিটি স্তরে লিঙ্গ সমতা অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন এবং উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে পড়া, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সম্ভাবনা পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এবং সরকারের আন্তরিকতার অভাবে চাপা রয়েছে। এজন্য দলিত ও পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের প্রতি বৈষম্য কমিয়ে তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। কারণ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মূল স্লোগানই হলো ‘কাউকে পেছনে রাখা যাবে না’।  

মানববন্ধনে আরও বলা হয়, দলিত নারী-কিশোরীদের প্রতি নির্যাতন ও বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে তাদের সামনে এগিয়ে নিতে দলিত মেয়েশিশু যেন বাল্যবিয়ের শিকার না হয়, রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে নিজ নিজ কর্ম এলাকায় মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সুযোগের মাধ্যমে দলিত নারীদের বিকল্প পেশা গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। মাতৃত্বকালীন সময়ে দলিত নারীরা যেন রাষ্ট্র প্রদত্ত সব সুবিধা সম্পূর্ণরূপে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।