ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৈকতের ফোনে ভবনে যান রুম্পা, প্রবেশের দৃশ্য ফুটেজে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
সৈকতের ফোনে ভবনে যান রুম্পা, প্রবেশের দৃশ্য ফুটেজে

ঢাকা: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার (২০) মৃত্যুর ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সৈকতকে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

কিন্তু সম্প্রতি তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সম্পর্কের অবনতি মেটাতেই ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সৈকতের ফোন পেয়ে ওই ভবনে যান রুম্পা।

সন্ধ্যায় সৈকত ও রুম্পার ঘটনাস্থলের একটি ভবনে প্রবেশের দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। পরে এদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে ভবনের নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সৈকতকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুম্পা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে মনে করেন ডিবির এই কর্মকর্তা।

ডিবি দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজিব আল মাসুদ বাংলানিউজকে জানান, সন্দেহভাজন হিসাবে সৈকতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রুম্পা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে সৈকত নামে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা গেছে, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সৈকত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন।

পরে আর্থিক সংকটের কারণে স্টামফোর্ডে আর পড়াশোনা চালিয়ে যাননি তিনি। দুই সেমিস্টার শেষে অন্য একটি কলেজে ভর্তি হন।

এদিকে, শনিবার রাতে রুম্পা হত্যা মামলার তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের তিনটি ভবনের মধ্যবর্তী একটি স্থান থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ দেখে আশপাশের লোকজন কেউ চিনতে না পারায়, শনাক্তের জন্য মৃতের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সংগ্রহ করা হয়।

নিহত রুম্পার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন রুম্পা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, শারমিন দুটি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সে সময় পরিহিত স্যান্ডেল বদলে বেরিয়ে যান রুম্পা।  

কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।