শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত এ কমিটির অনুমোদন দেন।
এদিকে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
নবগঠিত এ আহ্বায়ক কমিটিকে অগণতান্ত্রিক ও বিএনপিকে দলীয়ভাবে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যারা বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছিল না, তাদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি থাকলে আমরা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, জেলা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ না করে অগণতান্ত্রিকভাবে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ বছর ধরে যারা বিএনপির রাজনীতি থেকে দূরে ছিল তাদের এ কমিটিতে রাখা হয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির নামও এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে। আমি মনে করি এ কমিটি ভবিষ্যতে বাগেরহাট জেলা বিএনপিকে দুর্বল করবে। এ কমিটি দিয়ে কোনোভাবে পূর্ণাঙ্গ ভাল কমিটি আশা করা যায় না। তিন দিনের মধ্যে এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পূনর্গঠনের দাবি জানাই।
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফফর রহমান আলম বলেন, যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে তার আহ্বায়ক ২০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির বাইরে ছিলেন। যুগ্ম আহ্বায়ক যারা হয়েছেন তারা থাকেন ঢাকায়। তাদেরও দলের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। এ কমিটি নিয়ে জেলার সাংগঠনিক কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে করা সম্ভব নয়।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান ও রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে যারা বাগেরহাটে বিএনপিকে সংগঠিত করেছে, আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, সরকারের দমন পীড়নের শিকার হয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে যে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে আমরা তা মানিনা।
শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এসকেন্দার হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাহেদ আলী রবি, মেহেবুবুল হক কিশোর, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি ইমরান খান সবুজসহ বিভিন্ন উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম গোরা, শমসের আলী মোহন, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ ও ড. ফরিদুল ইসলাম। সদস্য হিসেবে রয়েছেন, এম এ সালাম, আলী রেজা বাবু, মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম খান, কাজী খায়রুজ্জামান, প্রকৌশলী মাসুদ রানা, ডা. আব্দুর রহমান, মো. মনিরুল হক ফরাজি, নাসির আহমেদ মালেক, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, শেখ সাহেদ আলী রবি, অধ্যাপক হাদিউজ্জামান হিরো, সরদার ওয়াহিদুল ইসলাম পল্টু, জুলফিকার আলী, শেখ আব্দুল হালিম খোকন, মেহেবুবুল হক কিশোর, বেগম রুনা গাজী, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অ্যাভোকেট ফারহানা জাহান নিপা, হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না, শেখ সফিকুর রহমান, শেখ হাফিজুর রহমান, মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, মো. শহিদুল হক, আ. মজিদ জব্বার, মোল্যা ইসহাক আলী, হাফিজুর রহমান তুহিন ও মৃধা নজরুল ইসলাম। এর মধ্যে শেখ সফিকুর রহমান কয়েকদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
আরএ