শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২০ এর 'উদ্ভাবক ও উদ্যাক্তো: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের চালিকাশক্তি' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্র্যান্ডিং করতে কাজ করছি আমরা।
তিনি বলেন, উদ্ভাবন হচ্ছে ইঞ্জিন অব গ্রোথ। এ উদ্ভাবন কখন কিভাবে আসে, সেটা বলা মুশকিল। আমাদের আরো উদ্যাক্তা দরকার। সরকার উদ্যোক্তাবান্ধব, কেউ যদি সরকারকে বোঝাতে পারে, এ উদ্যোগে ভালো, তাহলে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী সেটা সহজেই করে দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পানি ও মানুষ, এ দুটি জিনিস আমাদের বড় সম্পদ। এটি কাজে লাগাতে পারলে কেউ ধাবিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, সিলেট দেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি। ৯৯৯ এ কল করলে ৩৪ সেবা পাওয়া যায়। ৩৩৩ কল করলে জমির পর্চা পাওয়া যায়। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের নমুনা।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসিতে এক্সপোর্ট, বিনিয়োগ, জনশক্তি তৈরিতে জোর দিয়েছি। স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারলে বদলে যাবে অর্থনীতি। তিনি বলেন, আমরা দূতাবাস অ্যাপস তৈরি করেছি। সেই অ্যাপসের মাধ্যমে ৩৪ ধরনের সেবা পাবে প্রবাসীরা। এটা উদ্ভাবন। এর ফলে কাজ সহজ হয়েছে। পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি স্বদেশ-বিদেশে যারা আছেন, তারা সরকারকে সহযোগিতা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেবাডটএক্সওয়াইজেডের প্রধান নির্বাহী আদনান ইমতিয়াজ হালিম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহজডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির, পাঠাও এর প্রধান নির্বাহী হুসাইন এম ইলিয়াস, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফায়েত আলম, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস অ্যান্ড এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
টিএম/এসএইচ