ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দক্ষতা বাড়াতে শতাধিক চালককে নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
দক্ষতা বাড়াতে শতাধিক চালককে নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

ঢাকা: সড়ক নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন যানবাহনের শতাধিক চালককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের নিজ কার্যালয়ে সড়কে যানবাহন চালনা ও পথচারী নিরাপত্তা সম্পর্কে অবগত করতে চালকদের নিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সংস্থাটি।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে চলচ্চিত্র তারকা সাইমন সাদিক চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু আপনার জীবনই নয়, আপনার পরিবারের কথা এবং অন্যের পরিবারের কথা ভেবে চালক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

দুর্ঘটনার পর অনেক সময় আপনারা আন্দোলনে নামেন। আমরা আন্দোলন চাই না, কোনো দুর্ঘটনা, মৃত্যু চাই না।

আপনার দিকে যেমন একটা পরিবার তাকিয়ে থাকে তেমনি যিনি আপনার যানবাহনে বসে থাকেন তার দিকেও একটি পরিবার তাকিয়ে থাকে। আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে যে, সময়ের চেয়ে জীবনের গুরুত্ব বেশি। কোনো অপমৃত্যু আমাদের কাম্য নয়।

কর্মশালার অংশগ্রহণকারীদের নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন ও সড়কে যানবাহন চালনা, যাত্রী-পথচারী নিরাপত্তার নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা তখনই বেশি ঘটে যখন সড়কে যানবাহন কম থাকে বা তুলনামূলক ফাঁকা থাকে। কারণ কে আগে বা পরে যাবে সে সম্পর্কে না জেনে যানবাহনের গতি বাড়িয়ে দিয়ে ঝুঁকি তৈরি করে। নতুন নতুন যানবাহন সড়কে নামলেও চালকের মানসিকতা ও জ্ঞান সেকেলে। তাছাড়া সড়কের অবস্থা এবং সংকেতগুলো আমরা বুঝি না।

তিনি আরো বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা শুধু চালকের কারণেই ঘটে না, পথচারি ও কখনো কখনো যাত্রীর বেপরোয়া মানসিকতার কারণে ঘটে। তবে চালক হিসেবে দুর্ঘটনা এড়ানোর দায়টা বেশি। কারণ দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথম দায় চাপানো হয় চালক-হেলপারের ওপরে।

বাংলাদেশ ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের মহাপরিচালক (ট্রেইনিং থিওরি অ্যান্ড রোড) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকার সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৭৯৩টি রিকশা এবং ২ হাজার ভ্যানসহ মোট ২৯ হাজার ৭৯৩টি লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যানে দেখা যায় কয়েক লাখ লাইসেন্সবিহীন রিকশা ও ভ্যান সড়কে চালাচল করছে। কোনো রিকশা চালকদেরই সড়ক ব্যবহার বিধির উপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।

তিনি বলেন, সড়কে ট্রাফিক নির্দেশনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। রাজধানীর বিশেষ এলাকায় সবাই কিন্তু আইনটা মানি, কিন্তু সাধারণ সড়কে ঢুকতেই আইন অমান্যের হিড়িক পড়ে যায়। এই অবস্থার উত্তোরণ ঘটাতে হবে।

পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, মোটরসাইকেল এবং রাইড শেয়ারিংয়ের অধিকাংশ চালকদের তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। যার ফলে দেখা যাচ্ছে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে একটি প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। আমরা পাথওয়ের মাধ্যমে সেই কাজটিই করছি।

বাংলদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।