রোববার (১৯ জানুয়ারি) মেলার চতুর্থ দিনে বিকেল ৪টায় থাকছে চিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিনই দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলে চিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে সুলতান মঞ্চ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে ১৩ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এবারের মেলাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করেন প্রধান অতিথি। জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলা চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
জানা যায়, আগামী ২৭ জানুয়ারি বিকেলে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
এদিকে, মেলা উপলক্ষে গোটা শহরে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা উপভোগ্য করে তুলতে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় সুলতান মঞ্চে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সুলতান ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, এবারের মেলায় থাকছে এসএম সুলতান ও বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব- হাডুডু, কুস্তি, ঘোড়ার গাড়ির দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, দড়ি টানাটানি, ভলিবল খেলা, মহিলাদের ভলিবল প্রতিযোগিতা, দড়ি টানাটানি, কাবাডি, শরীর গঠন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, কলাগাছে ওঠা, বাঁশের লাঠির দৌড়, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নাটক, জারিগান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতান স্বর্ণপদক প্রদান ও সুলতানের জীবন ও দর্শন নিয়ে সেমিনার।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, চিত্রশিল্পী সুলতান তার অংকিত ছবির মাধ্যমে ভবিষ্যত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেছেন। সুলতান তার চিত্রশিল্পের মাধ্যমে মানুষের বোধের গভীরতা তৈরি করেছেন। মেলাকে ঘিরে নড়াইলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট অব আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান। ১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর মহান এই চিত্রশিল্পী যশোর সম্মিলিত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এনটি