এ ময়লার দুর্গন্ধে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নাক চেপে ধরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা আবর্জনা সড়কের ওপর ফেলে স্তূপ করে রেখেছেন। এর ফলে রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। জমজম টাওয়ার থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত সড়কটির কয়েকটি স্থানে তিন/চার দিন ধরে এ আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, মুন্সিগঞ্জ শহরের বাসিন্দাদের সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বাইরের জেলা থেকে এ সড়ক দিয়েই শহরে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন স্থানে দিনের পর দিন এভাবে আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্ভোগ যেন বেড়েই চলেছে। ফল ব্যবসায়ীদের ফেলা আবর্জনা জমতে জমতে অনেক বেশি হলে তখন পৌরসভা থেকে গাড়ি এসে সেগুলো নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ফল ব্যবসায়ীরা সচেতন হলে কিছুটা সুফল আসবে বলে তারা মনে করেন। সড়কের ওপর আবর্জনার স্তুপ স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত পৌর কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা নিয়ে আসার প্রকল্পে মাসিক ৬০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে। সিটি করপোরেশন থেকে ঠিক করা লোক এ ময়লা নিয়ে আসেন পরে তা কাটাখালি ডাম্পিং জোনে ফেলা হয়।
তবে এ প্রকল্পে নিয়োজিত লোক ভালো সেবা দিলেও পরবর্তীতে ৬০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা নেওয়ার দাবি করেন এবং গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। নিয়মিত তারা ময়লা নিচ্ছে না এমন অভিযোগ প্রতিদিন আসতে থাকে। কয়েক বছর আগেও সবাইকে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে সচেতন করা হলেও বর্তমানে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় সড়কের ওপর ময়লা ফেলছে অনেকেই।
এছাড়া এখানে ইদ্রাকপুর এলাকার বাসা-বাড়ির ময়লাও রাখা হয় আবার স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীদের আবর্জনাও ফেলে ফেলা হয়। এখানে একটি গাড়ির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যে গাড়ি প্রতিদিন ময়লা নিয়ে যাবে। এ সড়ক দিয়ে শহরের সব মানুষ যাতায়াত করে তাই এ ধরনের ময়লার স্তুপ মোটেও কাম্য নয়। ফল ব্যবসায়ীদের অনেক বলা হয়েছে, কিন্তু তারা মানছেন না।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার সচিব আবুল কালাম মোহাম্মদ বজলুর রশীদ জানান, হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার সড়কে কলা ব্যবসায়ীরা আবর্জনা ফেলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেও কাজের কাজ হচ্ছে না। কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার ও মকবুল হোসেনকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা ব্যবসায়ীদের বলার পরও এ ব্যাপারে অগ্রগতি হচ্ছে না। ময়লার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে সরানোর ব্যবস্থা করি কিন্তু তার জন্য এক/দুইদিন সময় লেগে যায়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহম্মেদ জানান, শিগগির এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে স্থানীয়দের সচেতন করা হবে। এছাড়া একটি আধুনিক ডাম্পিং জোন তৈরির জন্য শিগগিরই পৌরসভায় একটি বাজেট আসবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১ ২০২০
আরএ