তাই দ্রুত ড্রেজার মেশিন সচল ও নির্ধারিত খনন কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন নৌযান সংশ্লিষ্টরা। যদিও ড্রেজিং বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীরা বলছেন, দুই/একদিনের মধ্যে ড্রেজিং মেশিন সচল করে আবার খনন কাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, বরিশাল নদীবন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিলে গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগ। শুরুতে টার্মিনাল ভবন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তলদেশে পলিথিন ও প্লাস্টিকের বর্জ্য থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় ড্রেজিং বিভাগকে। এ কারণে খনন কাজে কিছুটা দেরি হলেও কিছুদিন পরে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয় ড্রেজার মেশিনে।
তথ্যানুযায়ী, মাসখানেক আগে ড্রেজার মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর তা মেরামত করে চালানো হলেও মাঝে মধ্যে ত্রুটি দেখা দিতো। এরপর সর্বশেষ ১৮ জানুয়ারি ড্রেজার মেশিনে আবারও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর থেকে কীর্তনখোলায় খনন কাজ বন্ধ রয়েছে।
লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, যেখানে প্রথম শ্রেণির নৌপথে ১২ ফুটের ওপরে পানি থাকা প্রয়োজন, সেখানে কীর্তনখোলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় ভাটার সময় সাত-আট ফুট ও জোয়ারের সময় ১১ ফুট পানি থাকছে। এতে বড় ধরনের নৌযানকে অনেক সাবধানে চলাচল করতে হয়, অন্যথায় আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতো দ্রুত সম্ভব গুরুত্বপূর্ণ এ নদীবন্দরকে ঘিরে এর আশপাশের এলাকায় খনন কাজ সম্পন্ন করার দাবি মালিক-শ্রমিকদের।
এ বিষয়ে ড্রেজিং বিভাগের সহাকারী প্রকৌশলী রেজাউর রশীদ বলেন, কীর্তনখোলার মূল পয়েন্টগুলোতে খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন রসুলপুর সংলগ্ন এলাকায় কিছুটা খনন কাজ বাকি রয়েছে। দুই/একদিনের মধ্যে ড্রেজার মেশিন সচল হয়ে যাবে। এর পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি খনন কাজও সম্পন্ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এমএস/আরবি/