উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করায় মেধাবী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গাংনী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানী, গাংনী পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, চেংগাড়া সিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল হেলাল, শালদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম, তেঁতুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বলেছেন, এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
ইউএনও দিলারা রহমান গাংনীবাসীর দাবি পূরণ করেছেন।
তারা আরও জানান, এ পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি স্থাপনের ফলে শিক্ষকরা যেমন বিভিন্ন ঝুঁকি থেকে বাঁচবেন, তেমনি শিক্ষার্থীরাও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি স্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মেহেরপুর-২ ( গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌর সভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম, গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, গাংনীর তেরাইল জোড়পুকুরীয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যপক আব্দুর রশিদ, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সাংবাদিক নেতা লিটন মাহমুদ, অভিভাবক শাহাবুল ইসলাম, মাহাবুবুল হকসহ অনেকে।
এদিকে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েশা খাতুন, গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী হুমাইয়ারা ও বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিব হাসান ও পলক হোসেন স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটা আমাদের জন্য খুবই ভাল হয়েছে। আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যাবো। সিসিটিভি থাকলেই বা কি না থাকলেই বা কি। ভয়ের কোনো কারণ নেই। যারা অসদুপায় অবলম্বন করতে চায়, তারা সমস্যাই পড়তে পারে। তবে এটা একজন ভাল ছাত্রের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
গাংনীর ইউএনও দিলারা রহমান জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে অবাধ, নকলমুক্ত সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। আর এটাকে সফল করতে প্রায় দুই মাস আগে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরাও এ বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো নকলমুক্ত করতে উপজেলা কন্ট্রোলরুমে বসেই উপজেলার সব পরীক্ষকেন্দ্রগুলো নজরদারী করতে পারবো। তাছাড়া অনেক সময় বহিরাগতরা আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে কিছু অনৈতিক সুযোগ সুবিধা না পেয়ে দায়িত্বরত শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকি ধমকি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে থাকে। সেটাও এই পদ্ধতির মাধ্যমে দূর হবে।
নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করতে সব মহলের সহযোগিতাও কামনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০ ইং
আরএ