হযরত শাহ (রা) এর ওরস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলার কুমড়াকাপন ইউনিয়নে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বঙ্গবীর, টর্নেডো, অগ্রদূত, অবুজ, রঞ্জিত, বনফুল, মামা-ভাগিনা, গোলাম মোস্তাফা, জালালি-১, বাতাসী, লালপাগলা, জালালি-২ নামে ঘোড়াগুলো অংশগ্রহণ করে।
ঘোড়দৌড় আয়োজনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ বৃত্তকার মাঠের চারদিকে ঘিরে রয়েছেন। প্রথম, দ্বিতীয়, এবং তৃতীয় পর্বসহ দু’টি করে ঘোড়া পর্যায়ক্রমে মোট ছয় বার বিশাল বৃত্ত প্রদক্ষিণ করে। প্রতি পূর্বের প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া ঘোড়া ৬টিকে নিয়ে চূড়ান্ত পূর্ব অনুষ্ঠিত।
প্রতিযোগিতায় প্রথম নবীগঞ্জের ‘বঙ্গবীর’; দ্বিতীয় নবীগঞ্জের ‘রঞ্জিত’; তৃতীয় ‘গোলাম মোস্তফা’ ও চতুর্থ স্থান লাভ করে ‘অগ্রদূত’ নামের ঘোড়া।
প্রথম পুরস্কার একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ২৪ ইঞ্চি এলইডি টিভি, তৃতীয় পুরস্কার একটি স্ট্যান্ড ফ্যান এবং তৃতীয় পুরস্কার দেয়াল ঘড়ি। এছাড়াও প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দলকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে ছাতা দেওয়া হয়।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজক রুবেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটা আমাদের ৮২তম দুই দিনের ওরস আর ১৩তম ঘোড়দৌড়, যা প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ, কানাইঘাট, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং প্রভৃতি দূর-দূরান্ত থেকে ঘোড়াগুলো এখানে আসে। আমাদের মূল লক্ষ্য গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এই সংস্কৃতিটাকে বাঁচিয়ে রাখা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
বিবিবি/এসআরএস