রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক নারীরা হলেন- ওই গ্রামের আলাউদ্দীনের স্ত্রী রেসমা বেগম ও মেয়ে জুলি খাতুন।
নিহতের স্বামী আল মামুন বলেন, স্বর্ণের চেইনটা আমার শাশুড়ি জুলেখাকে (স্ত্রী) দিয়েছিল। আর এ নিয়ে এমন অপবাদ সহ্য করতে না পেরে সে মেয়েকে মেরে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
নিহতের ননদ সিমা খাতুন জানান, ৬ মাস আগে প্রতিবেশী আলাউদ্দীনের বাড়ি থেকে একটি স্বর্ণের চেইন চুরি হয়। গত শনিবার দুপুরে তার ভাবি জুলেখা আলাউদ্দীনের দোকানে যান কেনাকাটা করতে। এসময় আলাউদ্দীনের মেয়ে জুলি তার ভাবি জুলেখার গলা থেকে জোর করে চেইন খুলে নেন এবং চুরির অপবাদ দিয়ে আটকে রেখে মারধরও করেন। বাড়ি ফিরে এসে পরের দিন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহতের স্বজনেরা বলেন, নিহত জুলেখা বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। চেইনটা যে ওই দোকানদারের তার কোনো প্রমাণ না দিয়ে এভাবে জোর করে গলা থেকে কেড়ে নেওয়া ঠিক হয়নি। প্রমাণ দিয়ে বিচার সালিশের মাধ্যমে গেলে আজ এভাবে তিনটি প্রাণ ঝরে যেতো না।
শার্শার নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কাদের কারণে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত দুই জনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
আরএ