মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় বাস কাউন্টার থেকে ওই বাস দু’টির সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ রুটের দূরপাল্লার যাত্রীরা।
ওই সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মোটর মালিক সমিতির চাঁদাবাজি, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির ভাড়া কমানো, দিনের বেলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সার্ভিস চালু এবং রাঙামাটি-কক্সবাজার সার্ভিস চালুর দাবিতে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী ‘পাহাড়িকা’ ও ‘দ্রুতযান’ বাস সার্ভিস দু’টি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
অবিলম্বে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মোটর মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজি বন্ধসহ সব ধরনের দাবি মেনে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কাছ জোর দাবি করা হয়। আর এসব দাবি মেনে না নিলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
চাঁদাবাজির অভিযোগ করে রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ইমতিয়াজ সিদ্দিক আসাদ বাংলানিউজকে বলেন, নতুন গাড়ি সড়কে নামাতে দিচ্ছেন না মালিক সমিতি। নামালেই নাকি ৬ লাখ টাকা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাগামী যাত্রীবাহী প্রতিটি বাস থেকে ৩৮০ টাকা এবং চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ও দ্রুতযান থেকে ১০০ টাকা চাঁদা আদায় করছে। এসব চাঁদাবাজি রাউজান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি বাস মালিক সমিতি রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, এখনো রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী ওই দুই বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। তবে বাস চালুর জন্য চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস চলাচল শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এসআরএস