মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা) রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ইতালিয়ান সরকারের প্রতিনিধি ক্রিস্তিয়ানো কোত্তাফাভি এবং দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে সফরকালীন আবাসস্থল পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে নেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-১২০১’ ভিভিআইপি ফ্লাইটে রোমের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে হোটেলের হলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বিতীয় দিন বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
দুপুরে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে ব্যবসায়ী নেতারা সাক্ষাৎ করবেন তার সঙ্গে। এরপর রাতে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
সফরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুপুরে ট্রেনে করে রোম থেকে মিলান যাবেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের ‘ইকে-২০৬’ ফ্লাইটে মিলান মেলপেনসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ইউরোপে এটিই প্রথম কোনো দ্বিপক্ষীয় সফর প্রধানমন্ত্রীর।
এর আগে দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গত অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইতালি সফরের আমন্ত্রণ জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তে।
প্রধানমন্ত্রীর রোম সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ইতালিতে দক্ষ কর্মী পাঠানোসহ প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া ইতালিতে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, মাছ, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইএনআই বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ সফরে এনিয়ে আলোচনা হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের পর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি ইতালিতে বসবাস করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এমইউএম/ইউবি/এসএইচ