বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাদশা মিয়া। এর পরপরই চিকিৎসকের অবহেলায় বাদশার মৃত্যুর অভিযোগ তোলে স্বজনরা।
নিহতের পরিবার জানায়, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে হৃৎপিণ্ডের ব্যথায় আক্রান্ত হলে বাদশাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ইসিজি করে তাকে হাসপাতালের বেডে নেওয়া হয়। এরপর টয়লেটে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন বাদশা। সে সময় টয়লেটের দরজা খলার জন্য রোগীর স্বজনরা চিৎকার করতে থাকলেও হাসপাতালের কেউ এগিয়ে যায়নি। একপর্যায়ে বাদশার ছেলে ওপর দিয়ে ঢুকে টয়লেটের দরজা খোলেন। পরে চিকিৎসক গিয়ে বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী শাহানারা বেগম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে কোনো চিকিৎসক বা নার্স আমার স্বামীকে দেখতেও আসেনি। তাদের অবহেলার কারণেই আমার স্বামী মারা গেছে।
নিহতের ছেলে শাহজাহান বলেন, বারবার চিকিৎসকের সন্ধান করেও কাউকে পায়নি। একজন নার্স এসে একটি ইনজেকশন পুশ করে চলে গেছেন।
এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তির পর রাতে অবশ্যই জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোগীকে দেখেছেন। নার্সও তার দায়িত্ব পালন করে রোগীকে বেডে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এসআর/এইচজে