সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাণিজ্য অনুষদে অনুষ্ঠিত এক বক্ততায় তিনি এ কথা জানান। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব নিয়ে এই বক্তৃতার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজেনেস বিভাগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশি হাইকমিশনের ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট বিভাগের প্রধান দিরিক গ্রিফিথস ও ইন্টারন্যাশনাল বিজেনেস বিভাগের চেয়ারম্যান সুবোধ দেবনাথ।
হাইকমিশনার বলেন, আমরা ৪৭ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে থাকার পর গত ৩১ জানুয়ারি তা ত্যাগ করি। ১৯৭৩ সালের পর এই প্রথম আমরা সার্বভৌম জাতি হিসেবে নিজেদের ভাগ্য নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এর মধ্যে বাণিজ্যও অন্তর্ভুক্ত আছে। এখন থেকে ও বছরের শেষদিকে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাব। যেরকম একটা চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার মধ্যে রয়েছে। মুক্তবাণিজ্য সব দেশেকে উন্নতির সুযোগ করে দেয়। আমরা স্বাধীন ও আত্মবিশ্বাসী জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মুক্তবাণিজ্যের পক্ষে।
বাংলাদেশ নিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে। তবে এই উন্নতিকে ধরে রাখতে হলে ব্যবহারিক জ্ঞান, চাকরির ক্ষেত্র ও পুঁজি বাড়াতে হবে। যেহেতু আমরা বৈশ্বিক ব্রিটেন, সে হিসেবে আমরা নতুন অংশীদার ও ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। যদিও পৃথিবীতে বাংলাদেশের তুলনায় এ রকম অধিক পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা কম দেশে আছে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে হাইকমিশনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপাচার্য আখতারুজ্জামান ব্রিটেনের হাইকমিশনারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস অবহিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এসকেবি/টিএ