দিবসগুলোতে ফুলের চাহিদা ব্যাপক। তাই ফুলের বাণিজ্যিক সরবরাহ বেড়েছে ইতোমধ্যেই।
বড় ধরনের এই চাহিদা মেটাতে সাভারের বিরুলিয়ার ফুলচাষি এবং ব্যবসায়ীরাও বসে নেই। সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
দিবসগুলো আসতে আর হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি থাকায় এখানের ফুলচাষিরা বাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার সন্ধ্যা নামলেই চাষিদের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিচ্ছেন ফুলের বাজারে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত প্রায় ২৫০ হেক্টর গোলাপ বাগানের পাশের মোস্তাপাড়া ও স্যামপুর ফুল বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
দেখা যায়, সারাদিন গোলাপ বাগান থেকে ফুল তোলা শেষে সন্ধ্যার দিকে চাষিরা ঝাঁকি ভর্তি করে ফুল নিয়ে মোস্তাপাড়া ও স্যামপুর ফুল বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। আর পাইকাররা বিকেল থেকে ফুল মার্কেটে আসা শুরু করেন। বেচা-বিক্রি শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। চাষিরা নিজ নিজ ফুলের দাম ধরছেন আর পাইকাররা তা টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছরে এ অঞ্চলের ফুলচাষিরা কমপক্ষে দুই থেকে তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট করেছেন তারা। প্রতি পিস গোলাপ ফুল ১০ থেকে ১৫ টাকা ও মাম ফুল পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জিপসি ফুল ৫০০ টাকা আঁটি, ১০০ গ্লাডিওলাস রঙভেদে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, এক আঁটি কেলেন্ডার ৭০০ টাকা, জারবেরা ২০ থেকে ২৫ টাকা পিস করে বিক্রি হচ্ছে।
৩০ বান্ডিল গোলাপ ফুলে ঝাঁকি ভর্তি করে মোস্তাপাড়া বাজারে এসেছেন চাষি মো. ফকির চান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এ সময়ের জন্য আমরা বিরুলিয়ার ফুল চাষিরা অপেক্ষা করি। সারাবছরের ফুল ফেব্রুয়ারিতেই বিক্রি করি। এবার ফুলের দাম ভালো আছে। আর ফুলে কোনো পোকামাকড়ও ধরেনি। তবে তীব্র শীতের কারণে ফুলের কলি একটু কম ফুটেছে। তবে আমরা সব চাষি আশাবাদী এবার লাভবান হব। মোস্তাপাড়া ফুল বাজার দেখাশোনা করেন ইমরান। তার সঙ্গে কথা হলে বাংলানিউজকে বলেন, সামনে তিনটি দিবস। এ সময় আমাদের বাজারে ফুলে ভরপুর থাকে। বাজারে ফুলের ঝাঁকির জন্য মানুষ ঢুকতে পারে না। তবে এবার ফুল একটু কম। তবে আরও দুইদিন আছে সামনে। দেখা যাক। ভালো বেচা-কেনা হবে আশা।
গোলাপ ফুলের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিবস উপলক্ষে ফুলের চাহিদা ব্যাপক। আগামী দুই দিন আরও বিক্রি হবে। শীতের কারণে ফুলের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম চড়া যাচ্ছে।
সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, এবার গোলাপ ফুলে কোনো রকম পোকামাকড় আক্রমণ করেনি। তাই চাষিরা বেশ বিক্রি করতে পারছেন। দামও পাচ্ছেন ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
টিএ