বুধবার (১২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সামগ্রী জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
পাসপোর্টধারী যাত্রী রত্না ঢাকার গুলশান বাড্ডা এলাকার মোজাম্মেলের স্ত্রী ও আবিদ হাসান একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, স্ক্যানিং মেশিনে বড় বড় তিনটি ল্যাগেজে ওষুধের এ চালান ধরা পড়ে। এরপর ল্যাগেজ খুলে দেখা যায় তার মধ্যে ভারতীয় উন্নতমানের পেনিটন সোডিয়াম ইনজেকশন, ইউএসপি ও থ্রমবোফোপ জেল রয়েছে। এসময় ওই পাসপোর্টধারী যাত্রী তার ল্যাগেজ ফেলে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী অপর যাত্রী রত্না খাতুন ও আবিদ হাসান কাস্টমসের স্ক্যানিং থেকে বের হলে সন্দেহবশত শুল্ক গোয়েন্দারা তাদের বেনাপোল স্থলবন্দর টার্মিনালের ভেতর থেকে আটক করে। এসময় নারী কাস্টমস কর্মকর্তা দিয়ে তল্লাশি করা হলে রত্নার কাছ থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো ১৬টি রেডমি-৮ প্রো মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
শুল্ক গোয়েন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ওই নারী বোরকার নীচে জিন্স প্যান্টের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ১৬টি পকেট বানিয়ে তাতে লুকিয়ে আনছিল মোবাইলগুলো। তার সঙ্গে থাকা আবিদের কাছ থেকে ৩টিসহ মোট ১৯টি মোবাইল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মোবাইলগুলোর মূল্য ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বলে প্রাথমিকভাবে তিনি জানান।
চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার এম এ হান্নান বলেন, কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দারা যৌথভাবে মোবাইল ফোন ও ওষুধ জব্দ করে। ওষুধ ও মোবাইল ফোনের মোট মূল্য ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তবে ওষুধের মালিক না পাওয়ায় মালিকবিহীন জব্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে সরকারি রাজস্ব দেওয়ার জন্য মোবাইলের ডিএম স্লিপ ওই যাত্রীদের দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত পণ্য বেনাপোল শুক্ল গুদামে জমা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
আরএ