সূত্র মতে, ভোমরা ইমিগ্রেশনে স্থাপিত ঝুঁকি নির্ণয় কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত দুজনের শরীরে মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকায় তাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও তারা ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত।
ভোমরা ইমিগ্রেশন ঝুঁকি নির্ণয় কেন্দ্রে কর্মরত স্যানেটারি ইন্সপেক্টর বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, তারা ভারত থেকে আসা মানুষের সর্দি, কাশি ও তাপমাত্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।
ভোমরা ইমিগ্রেশনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঝুঁকি নির্ণয় কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ইমিগ্রেশনে এ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ওপার থেকে আসা যাত্রীরা।
ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিক আসাদুজ্জামান জানান, ঘোজাডাঙ্গা ইমিগ্রেশনে করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। আমাদের দেশে প্রশাসনের উদ্যোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা দেখে ভাল লাগছে।
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ সরকার জানান, প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক মানুষ ভোমরা বন্দর দিয়ে যাওয়া-আসা করে। এদের মধ্যে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। তারা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোমরা বন্দরে ওপার থেকে আসা যাত্রীদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। দুজনের শরীরে মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকায় তাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে তারা ঝুঁকিমুক্ত।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও এ সংক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ৫ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভোমরা ইমিগ্রেশনে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি নির্ণয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
আরএ