ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পোড়াদহমেলায় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা

কাওসার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
পোড়াদহমেলায় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা মেলায় উঠেছে বাঘাইড়। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: মাছের জন্য বিখ্যাত বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ মেলায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পাইকারি মাছের আড়ত। প্রতিবছরের মতো মেলা শুরুর একদিন আগে বসানো এসব আড়তে এরইমধ্যে বিকিকিনি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার মাছ।

মেলা প্রাঙ্গণের দক্ষিণে রাস্তা ঘেঁষে ১৭টির মতো বড় আড়ত বসেছে। ভোর থেকে মেলায় আসা বিভিন্ন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী এসব আড়ত থেকে মাছ কেনা শুরু করেন।

এরপর তারা মেলায় বসানো দোকানে সেসব মাছ ওঠান। পরে বিক্রি করেন ক্রেতা সাধারণের কাছে। মেলায় মাছ হাতে বিক্রেতা।  ছবি: বাংলানিউজবুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এসব আড়তে পাইকারি দর হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মাঝারি ও বড় আকারের প্রায় কয়েক কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়েছে। গেল কয়েকবারের থেকে এবারের মেলায় মাছ আমদানি কম করেছে ব্যবসায়ীরা। মেলার স্থান পরিবর্তন হওয়ায় আগের তুলনায় মেলার জায়গা ছোট হয়ে এসেছে।

মেলায় উঠেছে বাঘাইড়, গাঙচিল, চিতল, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, হাঙড়ি, গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, কালিবাউশ, পাঙ্গাস মাছ। মাছের ওজন মাপা হচ্ছে। খাজা বাবা ও ছয়তারা মৎস্য আড়তের আকালু, শাহাদত হোসেন বাবু, ইয়াসিনসহ বেশ কয়েকজন আড়ৎদার বাংলানিউজকে বলেন, মেলা শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ মেলাকে সামনে রেখে মাছ কেনা শুরু করেন। এসব মাছ তারা সংরক্ষণ করেন ছোট ছোট পুকুরে। মেলা শুরুর একদিন আগে এসব পাইকারি ব্যবসায়ী ছোট-বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। স্থানীয় আড়তদারের মাধ্যমে তা মেলায় আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। মাছ কিনতে মেলায় ক্রেতাদের ভিড়। আড়ৎদার আব্দুস সোবহান বাংলানিউজকে জানান, আগের তুলনায় মেলাটি ছোট হয়ে এসেছে। বারবার স্থান পরিবর্তন হওয়ায় মেলাটির আকৃতি ছোট হয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানান, তিনিসহ অন্য আড়তদাররা ভোর থেকে পাইকারি মাছ বিক্রি শুরু করেন। সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে তিনি মাঝারি ও বড় আকারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এরমধ্যে ৫-১৫ কেজি ওজনের মাছ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আড়ৎদার আকালু বাংলানিউজকে জানান, তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা মাছের মধ্যে রুই, মৃগেল, সিলভার, বিগহেড, কাতলা অন্যতম। মেলায় দর্শনার্থীরা। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা এ মেলায় পাইকারি মাছ বিক্রি করতে আসেন।

এ মেলায় ৫ থেকে ৭শর মতো খুচরা মাছ ব্যবসায়ী দোকান বসিয়েছেন। তারা নিজেরাও বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে আড়ত থেকেও মাছ কিনেছেন। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের মাছ বিক্রির হিসাব জানতে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান এসব আড়তদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।