শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের ওই ল্যান্ডে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেনাপোল চেকপোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২১শে মঞ্চে আলোচনা সভা, আবৃত্তি, গান আর রক্তদান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মিলনমেলা।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, এত ত্যাগের নজির পৃথিবীতে অন্য কোথাও নেই। এজন্য বাংলা ভাষা-ভাষীরা আজ গর্বিত জাতি। আজ দেশ বিভক্তি হলেও ভাষার পরিবর্তন হয়নি।
তারা আরও বলেন, ভাষার টানে বোঝা গেলো ছালাম, রফিক, শফিক ও বরকতের তরতাজা রক্ত বৃথা যায়নি। ভাষার আকর্ষণ ও বাঙালির নাড়ির টান যে কতটা আত্মিক ও প্রীতিময় হতে পারে তাও বুঝিয়ে দিলো একুশে ফেব্রুয়ারি। সেই সঙ্গে এপার-ওপার দুই বাংলার গণমানুষের ঢল ফের প্রমাণ করে দিলো, দেশ ভাগ হলেও ভাগ হয়নি ভাষার। উভয়দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি এখনো যে অটুট রয়েছে তাও বোঝা গেলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের বক্তব্যে।
এছাড়া এবার একুশে মঞ্চে সাত গুণীকে মৈত্রী পদক দেন দুই দেশের অতিথিরা। এসময় পদক দেওয়া হয় কালের কণ্ঠ’র বিশেষ প্রতিনিধি ফখরে আলম, পশ্চিমবঙ্গের কবি মুক্তি বসু, সমাজসেবক কার্ত্তিক দত্ত, বাংলাদেশের রাজনীতিক আজগর আলী মিঞা, রাজনীতিক মিনহাজ উদ্দিন, শিক্ষাবিদ শান্তিপদ বিশ্বাস ও বৃক্ষপ্রেমিক আব্দুল ওয়াহেদ সর্দার।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালায়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- শেখ আফিল উদ্দিন (এমপি শার্শা ৮৫-১), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মণ্ডল।
ভারতের পক্ষে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পৌর প্রধান শ্রী শষ্কর আঢ্য, মেন্ট জেলা পরিষদ উওর ২৪ পরগণার শ্রী গোপাল শেঠ, দমদম পৌরসভার সিআইসি শ্রীমতি রিঙ্কু দে দত্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
এসআরএস