শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্হাপক আসাদুল হক বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দের নেতৃত্বে শুক্রবার-শনিবার (২১-২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈশ্বরদী-খুলনা রেল রুটের 'পাকশী' রেলওয়ে স্টেশনে ব্লকচেকিং অভিযানকালে বিনা টিকিটের যাত্রীদের টিকিট করানো হয়।
আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো-রাজশাহী-গোয়ালন্দগামী ৭৫৬ নম্বর মধুমতী এক্সপ্রেস, রাজশাহী-খুলনাগামী ৭৬২ নম্বর
সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহীগামী ৭৮৪ নম্বর টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটিগামী ৭২৭ নম্বর রূপসা এক্সপ্রেস এবং রাজশাহী-খুলনাগামী ৭১৬ নম্বর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস।
এসময় ব্লক চেকিংয়ে উপস্থিত ছিলেন-পাকশী বিভাগীয় সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মজিবুর রহমান, ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু, শফিকুল ইসলাম, বরকত-উল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বাংলানিউজকে জানান, দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেনের পাকশী স্টেশনে স্টপেজ রয়েছে। প্রতিবছর পাকশী ফুরফুরা শরীফে বাৎসরিক মাহফিলে দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে হাজার হাজার মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগী করতে আসেন। ফেরার সময় টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় অনেকেই বিনা টিকিটেই ট্রেনে ওঠার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।
ডিসিও আরও জানান, শুধুমাত্র গত দুইদিনে পাকশী রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ৭৪০ জন যাত্রীর কাছ থেকে ৯২ হাজার ৪৬৫ টাকা আদায় করা হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্হাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, পাকশী রেলওয়ে স্টেশনে বিনা টিকিটের ৬০০ যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরিমানা ৩৭ হাজার টাকা, গত দুইদিনে সর্বমোট ১ লাখ ১২ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
আরএ