রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলার আইরমারী গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসীর উদ্যোগে দুই সহস্রাধিক মানুষ বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ সড়কের আইরমারী এলাকায় এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সাবেক অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন খান, শহিদুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খবির উদ্দিন খোকা, মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জেহাদ, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ, সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লাজু প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নুরী হত্যা মামলাকে পুঁজি করে আইরমারী গ্রামের গোলাম মোহাম্মদ কালু গাজীর ছেলে আবদুল হাকিম ও তার মামা আবু বকর আইমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান মাস্টার ও মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খবির উদ্দিন খোকাসহ ১০ জনের নামের তালিকা পুলিশের কাছে দেয়।
তাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ইসলামপুর থানা পুলিশ মামলার সঠিক তদন্ত না করে উল্টো আইরমারী গ্রামের মোশারফ হোসেন, ইজ্জত আলী, মুছা আলী ও জয়নাল আবেদিনকে গ্রেফতার করে এবং মুছা আলীর কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়।
চার মাস পর কারাগার থেকে জামিন পেয়ে মুছা আলী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, তাকে নির্যাতন করে জোরপূর্বক জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। ওই জবানবন্দিতে শহিদুর রহমান মাস্টার ও তার ভাই খবির উদ্দিন খোকা মাস্টারের নাম বলতে বাধ্য করা হয়।
এলাকাবাসী ও বক্তাদের দাবি মামলাটির সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিকে গ্রেফতার করে এজাহার বহির্ভূত আসামিদের দায়মুক্তি করা হোক। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। তাই তারা সঠিক তদন্তের স্বার্থে পিবিআই অথবা সিআইডিতে মামলাটি স্থানান্তরের দাবি জানান।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ জুলাই সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মালিরচর গ্রামের ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক আবু বকর নুরীকে পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর উপজেলার টুংরা পাড়া বন্দে আলী ব্রিজের কাছে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যায় পরদিন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে একজন নামীয় ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ইসলামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
আরএ