বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবু শামীম আজাদ আবেদন নামঞ্জুর পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) ইশা খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ইশা খান পটুয়াখালীর মোহাকাঠি গ্রামের ইয়াসিন খানের ছেলে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর পারিবারিক ভাবে শাহনাজ আফরোজের সঙ্গে ইশা খার বিয়ে হয়। বিয়ে সময় স্বর্ণালঙ্কার ছাড়াও ইশাকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য নগদ আড়াই লাখ টাকা দেয় শাহনাজের পরিবার। ছয় থেকে সাতমাস ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। এর মধ্যে সন্তান সম্ভবা হন শাহনাজ। বাধসাধে ইশা খা আরও ৫ লাখ টাকা দাবী করায়। পরিবারের লোকজন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাহনাজকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৯ নভেম্বর বরিশাল পুলিশ লাইনে ইশা খার বাসভবনে মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে মারধর করে শাহনাজের গর্ভপাত ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলে শাহনাজকে নিয়ে সংসার করার কথা বলে অভিযোগ তুলে নেয়ায় ইশা খা।
সবশেষ গেলো বছরের ১০ আগষ্ট অসুস্থতার জন্য শাহনাজ তার ভাইয়ের বাসায় আসলে সেখানে এসে পুনরায় যৌতুকের দাবীতে তাকে মারধর করে। পরে পুনরায় মিমাংসার চেষ্টা করলে রাজি না হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি স্বামী ও তার দুই ভাইকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করে শাহনাজ।
ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক ইশা খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮,২০২০
এমএস/এসই/এমএমএস