বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া উৎসবের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
এসময় তিনি বলেন, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শিল্প চর্চায় যেভাবে এগিয়ে আছে এই উৎসবের মধ্যদিয়ে উত্তরবঙ্গও এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু।
সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, শিশুরা উৎসবে এসে গুণী শিল্পীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আনন্দভরে যেভাবে ছবি আঁকছে তারা ভবিষ্যতে যে শিল্পী জয়নুল আবেদীন বা রফিকুন্নবী হবেনা সেটি বলা অসম্ভব। হয়তো তারা তাঁদের থেকেও বড় শিল্পী হতে পারবে।
আয়োজক কমিটির কিউরেটর ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজ্ইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ টুটুল জানান, শিল্পকলা চর্চার মাধ্যমে রুচিশীল ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রজম্ম গড়ে তোলা এবং কয়েক প্রজম্মের শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন সৃষ্টির উদ্দেশ্য উৎসবের আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বরেণ্য ও তরুণ শিল্পীবৃন্দ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, রুমানিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, জার্মানী ও ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১২ জন স্বনামধন্য শিল্পী অংশগ্রহন করেছেন। তাদের সান্নিধ্যে জেলার ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থী টানা চারদিন শিল্পকর্ম নির্মানের সুযোগ পাবে। ওই উৎসবে রয়েছে আন্তর্জাতিক আর্টক্যাম্প, কনটেম্পোররি আর্ট প্রজেক্ট, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কারুশিল্প মেলা ও লোক সংস্কৃতির বৈচিত্রময় উপস্থাপন।
আয়োজকরা জানান, কারুশিল্প পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে ২০ স্টলে। উৎসবে অংশগ্রহন করেছেন ১৬০ জন শিল্পী। এর মধ্যে ১০০ জন তরুণ। উৎসবে আঁকা চিত্রকর্মগুলো নিয়ে নীলসাগরে প্রদর্শনী হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মমতাজুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এসই/এমএমএস