ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টিস্যুবক্সে মুজিববর্ষের লোগো, সমালোচনার মুখে মাউশি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২০
টিস্যুবক্সে মুজিববর্ষের লোগো, সমালোচনার মুখে মাউশি

ঢাকা: সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মুজিববর্ষ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ থাকলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) টিস্যুবক্সে প্রিন্ট করে মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। টিস্যুবক্সে বাংলাদেশের স্থপতির জন্মশতবার্ষিকীর লোগো ব্যবহারের সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে। আর এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে মাউশি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে টিস্যুবক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী।

জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। তবে মুজিববর্ষ ঘিরে বাড়াবাড়ি না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এরই মধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তরের টিস্যুবক্সে বঙ্গবন্ধুর লোগো ছাপা নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ফেসবুকে এ নিয়ে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মুজিববর্ষের লোগো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যত্রতত্র প্রিন্ট করার একটি ঘটনা, যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এই প্রিন্টের বক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করেছি এবং এর পিছনে কে সেটি জানাতে বলেছি। পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করা হয়ে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতেই হবে।

তিনি লেখেন, আমাদের সমাজ, প্রশাসন, রাজনীতিক পরিমণ্ডলের সবখানেই অবিবেচক আর অতিউৎসাহীর কোনো কমতি নেই। পাশাপাশি অপরাজনৈতিক শক্তির দোসররা তো আছেই! এরা চাইবে যে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, বিতর্ক সৃষ্টি করতে। এই চ্যালেঞ্জটি আমাদের আছেই। এই বিশাল প্রশাসনের কোথায় কে কোন বিতর্ক ঘটিয়ে ফেলেছে তা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আর ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।

‘সবার অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি ‘মুজিববর্ষের’ আনুষ্ঠানিকতা কার্যক্রম, ইত্যাদির দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আছে। এর প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কমিটি নির্দেশিত কাজের বাইরে কিছু করতে চাইলে আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দুস্থ, গৃহহীন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যাণমূলক কিছু করতে, যেমন তাদের জন্য গৃহনির্মাণ। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় তার সাধারণ মানুষের জন্য যেই সমান অধিকারের দেশ তিনি রেখে যেতে চেয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের পথে আমরা অনেক দূর এগোতে পারবো। সুতরাং, অতিউৎসাহীরা সাবধান!’

এ নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে যোগাযোগ করলে জানানো হয় তিনি ঢাকার বাইরে রয়েছেন। দপ্তর থেকে মাউশির উপপরিচালকের (সাধারণ প্রশাসন) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

উপপরিচালক মো. রুহুল মমিন বাংলানিউজকে বলেন, অধিদপ্তর থেকে এরকম কোনো টিস্যুবক্স তৈরি কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। আমার ধারণা হয়তো কেউ সৌজন্য বা বিজ্ঞাপন আকারে দিয়ে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি আমরা অবশ্যই দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।