ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের হাজী মোবারক আলী সাহেবের বাড়ির মৃত হাছান আলীর ছেলে ফজলে আলী বাবু গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার মাদাম বিবির হাট আছাদি স্টিল শিপ ইয়ার্ড সংলগ্ন স্থানে দুর্ঘটনার শিকার হন। ইসহাক পরিবহনের ট্রাকের (চট্ট মেট্রো : ট-০৫-০০৯৯) চাপায় গুরুতর আহত হন বাবু।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পা হারানো বাবু লেগ স্ট্রেনের উপর ভর করে চলাচল করছে। এক সময় সুস্থ সবল লোকটি পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আজ। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে জড়িয়ে ধরেন পঙ্গু বাবু ও তার পরিবারের লোকজন। এসময় তাদের কান্নাকাটি আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। বসতঘর ছাড়া জীবনের সব সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়। টাকার অভাবে ওষুধ কেনাও সম্ভব হয় না।
আহত বাবু বলেন, কাজের সন্ধানে তিনি সীতাকুন্ডে যান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ইসহাক পরিবহনের ঘাতক ট্রাকের চাপায় সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে আমার।
আহত বাবুর ছোট ভাই শওকত আলী শাহীন বলেন, আমার ভাইয়ের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ছয় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইসহাক পরিবহনের মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণের ন্যায্য দাবি পাওয়ার আশায় ধর্না দেওয়ার পরও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির দাগনভূঞা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, ঘটনাটি বড়ই দুঃখজনক। আহতের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা ইসহাক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এসএইচডি/আরএ