শুক্রবার (৬ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে চাকরি প্রত্যাশীরা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮’তে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে প্যানেল করে অবিলম্বে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।
তারা জানান, ২০১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার, বর্তমানে তা প্রায় ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একটি নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় দেড় থেকে দুই বছর লেগে যায়। এছাড়াও পিটিআই, বিপিএড, মাতৃত্বজনিত ছুটি, চিকিৎসাজনিত ছুটি ও বদলির কারণে সারাদেশে বছরে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পদে শূণ্যতা থেকে যায়। ফলে শিক্ষক সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
তারা বলেন, ৩৮তম বিসিএস, মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনএসআইসহ আরও বেশ কিছু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল অপেক্ষমান রয়েছে। ফলগুলো প্রকাশ হলে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রচুর শিক্ষক নতুন পেশায় যোগ দেবেন। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট আরও তীব্র হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তরা বলেন, ২০১৮ সালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম সারা দেশ থেকে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে প্রায় ৩৭ হাজার ১৪৮ জন নিয়োগ বঞ্চিত হন।
তারা জানান, রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে কোনো সার্কুলার হয়নি। এর মধ্যে অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। ফলে বিদ্যালয়ে শূণ্য আসনের ভিত্তিতে এই ৩৭ হাজার ১৪৮ জনকে নিয়োগে সুপারিশ করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
কর্মসূচিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, বাবুল মুন্সিসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত চাকরি প্রত্যাশীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
পিএস/এবি