শুক্রবার (৬ মার্চ) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: সকাল ৮ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত বালু, পাথরবাহী গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, প্রতিটি বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই পাশে প্রতিরোধক স্থাপন করা, যানবাহনের গতিসীমা ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্দিষ্ট রাখা, ফিটনেস ও অনুমোদন বিহীন গাড়ি বন্ধ এবং লাইসেন্সবিহীন চালক ও হেলপার দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নেত্রকোনা জেলার সুসং দুর্গাপুর ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তারপরই অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের কারণে এ অঞ্চলের জনসাধারণের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ (বালু, পাথর, কয়লা) উত্তোলন করার কারণে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর আইনে ড্রেজার ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও তা অমান্য করে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর নাব্যতা কমছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। প্রাকৃতিক সম্পদ আমার, আপনার, সরকারের উপকার করার কথা। তা না করে বরং এলাকাবাসী জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা এবং অসংখ্য ও লাইসেন্সবিহীন অনিয়ন্ত্রিত ট্রাক চলাচলের কারণেই দূর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পলাশ আহমেদ বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসাছাত্রী ইশা, ২৯ ফেব্রুয়ারি আরও চারজন স্কুলছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এসব দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সচেতন শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে বালু ব্যবসায়ীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার প্রতিবাদে আজকের এ মানববন্ধন।
এসময় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির হোসেন, তানভীর, তরিকুল, মীর আকাশ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
পিএস/এফএম