রোববার (০৮ মার্চ) দুপুরে হাজী রোড এলাকার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক মা সুফিয়া বেগমকে (৩৮) আটক করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সুফিয়া বেগম নিজে তার মেয়ে মাহিমাকে গলাটিপে হত্যা করেন। এটিকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্য মরদেহ ঘরে রেখে গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে দেন সুফিয়া। পরে প্রতিবেশিরা ধোয়া দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু ফাহিমার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে শিশুটি আগুনে দগ্ধ না হওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হলে সুফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন সুফিয়া নিজেই নিজ সন্তানকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সুফিয়া বেগম জানান, তিনি নিজে ক্যান্সারের রোগী। এ কারণে দুইমাস আগে স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। যেহেতু তিনি নিজে বাঁচবেন না, সেজন্য সন্তানকে দুনিয়া থেকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি এ কাজ করেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, সুফিয়া মাদক ও দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাছাড়া তিনি নিজেও মাদকসেবী। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি কলেজ পাড়ার সাহাদৎ হোসেনের বাড়ির তিন তলায় দ্বিতীয় স্বামী মনু মিয়ার সঙ্গে বসবাস করতেন। দুই মাস আগে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হয়। এর আগে, প্রথম স্বামী আবু তালেবের ঘরে তার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এনটি