রোববার (০৮ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর পরই ব্যাংকের লেনদেন প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার রহমাননগর এলাকার আরমান আলী (৩৮), কামারগাড়ি এলাকার সাজ্জাদ হোসেন নয়ন (৪০), ও নাটাইপাড়ার জীবন কুমার সরকার (৪০)।
জানা যায়, আহত তিনজই ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়ের ব্যবসা করেন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনা তদন্তের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়ার মহাব্যবস্থাপক জগন্নাথ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংক ভবনের ছাদ দুর্বল হয়ে গেছে। ছাদটি সংস্কারের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে কিছুদিন আগে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ওই ছাদ সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংস্কার কাজের জন্য তারা ব্যাংকের মূল ভবনের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত লোহার তৈরি বিপুল সংখ্যক সাটারিং (পাইপ) স্থাপন করেন। রোববার দুপুরে ছেঁড়া-ফাটা টাকা বিনিময়ের কাউন্টারের সামনে স্থাপন করা একটি লোহার পাইপ পড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি কোন এক মহিলা গ্রাহকের ধাক্কায় লোহার পাইপটি স্থানচ্যুত হয়ে পড়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে লেনদেন কার্যক্রম আবারও শুরু হয়।
বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাজীব সাহা বাংলানিউজকে জানান, আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন নয়নের অবস্থা গুরুতর।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার সুরমান আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এইচএডি/