ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিএনপিসহ সবাইকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
বিএনপিসহ সবাইকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: হাইকোর্ট ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করার রায় দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এখন থেকে বিএনপিসহ সবাইকে জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান না।

এটা আমাদের মুক্তির স্লোগান। এই স্লোগান দিতে যাদের লজ্জা লাগে এই রায়ের পর তাদের সেই লজ্জা আর থাকবে না। আপনারা সবাই জানেন, মহামান্য হাইকোর্ট আজকে একটি রায় দিয়েছেন, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করার জন্য। এটি কাঙ্খিত রায়, এ রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এখন যাদের এ স্লোগান দিতে লজ্জা লাগে, কোর্টের রায় অনুযায়ী তাদের জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া উচিত, দেশের আইন ও আদালতের প্রতি সম্মান রেখে এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান রেখে।  

‘আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ ও স্বাধিকার আদায়ের মূল স্লোগান ছিল- জয় বাংলা। জয় বাংলা ছিল আমাদের মুক্তির স্লোগান, এটা কোনো দলের না। ফলে হাইকোর্টের রায়ের পর আমি আশা করবো বিএনপিসহ সবাই এখন থেকে জয় বাংলা স্লোগান দেবে। ’ 

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার, দল ও সমগ্র দেশবাসীর পক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কার্যক্রম  গ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের হুমকির মুখে জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে সেসব অনুষ্ঠান সঙ্কুচিত করেছেন। একই সঙ্গে অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করতে বলেছেন। কোনো অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এ অনুষ্ঠানগুলো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে মাত্র।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর নিশ্চিত এ ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যেদিন মুজিববর্ষ পালনের জাতীয় কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো, আপাতত গণজমায়েতের অনুষ্ঠানগুলো পরিহার করা হবে, সেদিনও নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়ে দুই দেশেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছিল। পরে তা স্থগিত করা হয়।  

বিএনপি করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির উচিত ছিল করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজনীতি না করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো। এটি একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ। এটি শুধু বাংলাদেশে হচ্ছে এমন নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পৃথিবীব্যাপী বিমান চলাচল সঙ্কুচিত হয়ে গেছে।  ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত পারতপক্ষে হোয়াইট হাউস থেকে বের হচ্ছেন না। বিশ্ব নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাতিল করছেন। বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই দুর্যোগের মধ্যে যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে তাদের উচিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো।  

করোনা ইস্যুতে বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, জনগণের পাশা থাকার জন্য। কিন্তু বিএনপি সেটা না করে করোনা নিয়ে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা ঠিক না। গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্যে  দিয়েছেন, এগুলো প্রকৃতপক্ষে করোনা ভাইরাস নিয়ে মস্করা করার শামিল। তারা সবসময় চিন্তিত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে। সমগ্র বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও সেদিকে তাদের কোনো দৃষ্টিপাত ছিল না। আমি মনে করি, জনগণের জন্য যদি রাজনীতি করেন, তাহলে করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজনীতি করবেন না।  

আরও পড়ুন>>> বিএনপি করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে, আতঙ্ক ছাড়াচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০ 
জিসিজি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।