তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকির পরিমাণ আরও বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরপর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রতিমন্ত্রী জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দুর্যোগে কাজ করে এরূপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন করেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে পূর্বপ্রস্তুতি, টেকসই উন্নয়ন আনবে গতি’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতির ওপর আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতে আমরা সারা বছরই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহড়ার আয়োজন করে থাকি। এবছরও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহায়তায় লালমাটিয়া গার্লস হাই স্কুল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ এবং চক বাজারে মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে দুর্যোগ সহনীয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশ সফরকালে বলেছেন দুর্যোগ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা বাংলাদেশের কাছে সারাবিশ্বের শেখার আছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে যেসব এলাকায় পুরাতন ভবন ও স্থাপনা রয়েছে সে গুলোকে ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তুলতে আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ দীর্ঘ মেয়াদ হতে পারে ৫০ বছর। জাপান সরকার ও জাইকার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় পুরাতন ভবনসমূহ ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হবে। আমাদের দেশের স্থপতি ও প্রকৌশলীদের জাপানে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে যেন তারা বড় ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন ও স্থাপনা নির্মাণে কাজ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসিন এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস/