মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুইটি পাসপোর্ট ও একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, গ্রেফতার রনি কথিত জিহাদের উদ্দেশে ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। সম্প্রতি তার তিন সহযোগীকেও ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি জানায়, গ্রেফতার রনি আনসার আল-ইসলামের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি ২০১৮ সালে দুবাই যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি অনলাইনে টেলিগ্রাম ও অন্যান্য নেটওয়ার্কিং অ্যাপসের মাধ্যমে সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তখন ২০১৯ সালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করে ২০১৯ সালে দুবাই পুলিশ। এরপর সাত মাস কারাভোগ শেষে দেশে পাঠিয়ে দেয় তাকে।
দেশে ফিরে তিনি পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের সংগঠিত করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি তার নির্দেশে আনসার আল-ইসলামের কতিপয় সদস্য কথিত জিহাদের উদ্দেশে ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
ইতোপূর্বে ওই সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রনির নির্দেশে হামলা পরিকল্পনার কথা জানান।
গ্রেফতার রনি তার অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে টেলিগ্রাম ও অন্যান্য অনলাইন চ্যাট গ্রুপ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন। এছাড়াও তিনি দুবাই অবস্থানকালে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য কিনে দেশে আনার চেষ্টা করেছিলেন।
সিটিটিসি জানায়, রনির সঙ্গে সংগঠনের দাওয়াত প্রদানকারী নাজমুল ওরফে উসমান গণি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর যোগাযোগ ছিল। নাজমুল ওরফে উসমান ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যাচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
পিএম/টিএ