রোববার (১৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১ অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।
শনিবার (১৪ মার্চ) দিনগত রাতে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মোফাজ্জল হোসেন (২৮), মাসুদ মিয়া (২৫) ও মনির হোসেনকে (৩০) আটক করে র্যাব-১।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস, রক্তমাখা গাড়ির হুইল রেঞ্জ, একটি চাকু এবং নিহতের তিনটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গাজীপুর মহাগনর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত থাকার সুবাদে তাকওয়া বাসের হেলপার মোফাজ্জল হোসেন ও চালক মনিরের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ছিল কনস্টেবল শরীফের। কোনো অজ্ঞাত কারণে তাদের সুসম্পর্ক রুপ নেয় দ্বন্দ্বে। এর জেরে কনস্টেবল শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে মোফাজ্জল হোসেন।
র্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ মার্চ (রোববার) কনস্টেবল শরীফকে খুন করার জন্য ১০ হাজার টাকায় ময়মনসিংহের ভাড়াটে খুনী মাসুদকে ভাড়া করেন মোফাজ্জল। ২ মার্চ (সোমবার) চুক্তি অনুযায়ী মাসুদ গাজীপুরে আসেন এবং মনিরের বাসায় হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।
৩ মার্চ (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১১টায় মোফাজ্জল কৌশলে কনস্টেবল শরীফকে ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে তাকওয়া পরিবহনের ওই বাসটিতে উঠান। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে চলন্ত বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর লোহার হুইল রেঞ্জ দিয়ে পেছন থেকে শরীফের মাথায় আঘাত করা হয়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে চাকু দিয়ে তার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে নিহতের মোবাইল টাকা রেখে দিয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যান তিন হত্যাকারী।
লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাদেন বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
পিএম/এবি