রেবাবার (২২ মার্চ) সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।
এছাড়াও কর্মজীবী মায়েদের শিশু সন্তান ও কর্মজীবি নারীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিবেচনা করে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল জনসমাগম এড়িয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও হোস্টেলগুলোতে দর্শনার্থীদের গমন নিরুৎসাহিত করা হবে।
জনসমাগম হতে পারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এমন সব সভা ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। জয়িতা ফাউন্ডেশন পরিচালিত জয়িতা ফুড কোর্ট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
সভায় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত শিশু ও কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে অবস্থানরত কর্মজীবী নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ এড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পথশিশুদের সার্বক্ষণিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে অবস্থানের বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়া, আইইডিসিআর নির্দেশিত পন্থায় হাঁচি-কাশি দেওয়া, করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা, জনসমাগম পরিহার করা সর্বোপরি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়ে নির্দেশনা প্রতিপালন অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মাঠ পর্যায়ের সব অফিস, শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র এবং হোস্টেলে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর ও সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কাজল ইসলাম ও বাংলাদেশ শিশু একাডমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরিসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ