সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন একজন যাত্রী যদি রাইট শেয়ারিং করে এবং হেলমেট ব্যবহার করে পরবর্তী সময়ে একই হেলমেটটি পুনরায় অন্য যে কেউ ব্যবহার করলে তার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস স্কিনের মাধ্যমে ছড়ায় না। শুধু চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি এই হেলমেটটি ব্যবহার করার পর হাত দিয়ে হেলমেটটি স্পর্শ করবে, সেই হাত দিয়ে নাক মুখ স্পর্শ করলে করেনা ছাড়ানোর আশঙ্কা থাকে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে অ্যাপসভিত্তিক বাইক শেয়ারিং চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জনকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেন। সবাই একই হেলমেট ব্যবহার করেন।
তাদের অনেকেই এই হেলমেট থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। বাইক চালক শাকিব মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে রাইড শেয়ার করতে হয়। এখন একটু বেশি চাহিদা আছে। রাস্তায় যানজট নাই। অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাই। টাকাও ভালো পাওয়া যায়। প্রতিদিন একই হেলমেট সবাই ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, হেলমেট ব্যবহার না করলে প্রায় সিগনালে পুলিশের জবাবদিহিতায় পড়তে হয়। মাঝেমধ্যে মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। সেজন্যেই হেলমেট বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাত্রীরা তো হেলমেট সঙ্গে করে নিয়ে আসে না। তাই এক হেলমেটটাই বারবার ওরা ব্যবহার করে।
রাইড শেয়ারিং যাত্রী কামাল আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাস একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমরা সতর্কতার জন্যই গণপরিবহন ব্যবহার করছি না। এখন আপনার কাছে শুনলাম হেলমেট থেকে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি আছে। তাহলে আমরা কিভাবে নিরাপদ থাকতে পারি। তাই এখন ভাবার বিষয়।
এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রতিদিনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলছেন, অতি প্রয়োজনীয় কোনো কাজ কর্ম না থাকলে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
পিএস/এএটি