শনিবার (২৮ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, সাইয়েমা হাসানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রত্যাহার করেছে। তার স্থানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন সচিব আরও বলেন, দেশের সব জেলা প্রশাসককে বলেছি, এমন ধরনের আচরণ যেন আর কারও সঙ্গে না করা হয়। করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক না পরায় তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করে রেখে নিজের মোবাইলে ছবি ধারণ করছিলেন এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা শুরু করেন সবাই। বিষয়টিকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত আখ্যা দিয়ে ছবিটি ভাইরাল করেছেন বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীরাও।
সবার মন্তব্য, দেশের এই পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা না মেনে মাস্ক না পরে বাইরে এসে অবশ্যই তিন বৃদ্ধ অন্যায় করেছেন। কিন্তু গ্রামের খেটে খাওয়া বাবার বয়সী লোকদের জনসম্মুখে এভাবে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলবে একজন সরকারি কর্মকর্তা, এটা হতে পারে না। সভ্য দেশে একজন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা কোন মানসিকতায় এমনটি করলেন? তাদের তো জরিমানা কিংবা অন্য কোনো শাস্তি দেওয়া যেতো!
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটির মধ্যে জনসমাগম এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীও মাঠে নামানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিনা প্রয়োজনে বাইরে থাকলে সাধারণ জনগণকে বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/ইউজি/এমআরএম/টিএ