তবে তার শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাকে ছাড়পত্র দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম।
শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার বাসিন্দা সিঙ্গাপুরফেরত তহিদুল ইসলাম হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলছিলেন। এরই মধ্যে তার ৭ মাসের শিশুটি গত ২৩ মার্চ জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাপাতালে ভর্তি হয়। তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। যেহেতু শিশুটির বাবা প্রবাসে ছিলেন তাই সন্দেহতীত ভাবে আমরা বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখি। পরে শিশুটি করোনা পজেটিভ কিনা এটা পরীক্ষার জন্য রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানো হয়।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে আইইডিসিআর এর দুইজন নমুনা সংগ্রহকারী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা শিশুটির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে শিশুটির পুরো পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা করা হয়েছে।
বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, শিশুটি বর্তমানে আইসোলেশনেই রয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতা মতে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। তবে যেহেতু করোনা পজেটিভ কিনা সে সন্দেহে নমুনা পাঠানো হয়েছে, সেহেতু সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা শিশুটিকে ছাড়পত্র দিতে পারছি না। কারণ যদি পজেটিভ হয় তাহলে আবারও কোয়ারেন্টিইন করতে হবে। রিপোর্ট আসতে এখনো দুই-একদিন সময় লাগতে পারেও বলে জানান তিনি।
এদিকে এখন পর্যন্ত করোনা সন্দেহে বা করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন কোনো রোগী জেলার কোনো হাসপাতালে আসেনি। জেলায় বর্তমানে বিদেশফেরত ২৮০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
** কুষ্টিয়ায় শিশু আইসোলেশনে
** কুষ্টিয়ায় আইসোলেশনে থাকা সেই শিশুর নমুনা সংগ্রহ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
আরএ