শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার কালুপীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত ওই ইউপি সদস্য হাসপতালে চিকিৎসা নিয়ে এর বিচার চেয়ে শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ঘটনায় এসিল্যান্ড নিজের দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও ইউএনও বলেন, ‘মেম্বারকে আরও পেটানো উচিত ছিল। ’
ইউএনও বরাবরে দেওয়া অভিযোগ এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার কালুপীর বাজারে জনসমাগম ঠেকাতে গ্রাম পুলিশ ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল আলমসহ সঙ্গীয় ছয়জন পুলিশ ফোর্স নিয়ে চেষ্টা চালান সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য গাজিউর রহমান। সন্ধ্যায় তারা বাজারের একটি ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনে খাচ্ছিলেন। এ সময় এসিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে সেখানে যান। তখন ওই ইউপি সদস্য এগিয়ে গেলে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এসিল্যান্ড গালিগালাজ করে তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এসময় পুলিশ সদস্যরা এসিল্যান্ডকে জানান, তিনি ওই এলাকার ইউপি সদস্য, তাকে মারছেন কেন। এটা শোনার পরও এসিল্যান্ড তাকে পেটাতে থাকেন। তখন একটি লাঠি ভেঙে গেলে আরও একটি লাঠি নিয়ে মারতে থাকেন এবং গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন এসিল্যান্ড। পরে পুলিশ ওই ইউপি সদস্যকে রক্ষা করেন। পরে স্বজনরা রাতেই গাজি মেম্বারকে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। গাজি মেম্বারের অভিযোগ, ইউপি সদস্য পরিচয় পাওয়ার পর তাকে আরও বেশি করে পেটান এসিল্যান্ড। মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
এ বিষয়ে নিজের দায় এড়িয়ে এসিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন ওই মেম্বার। এজন্য তিনি নন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সেখান থেকে চলে যেতে ফোর্স করেন। এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
ইউএনও রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, মেম্বারকে আরও পেটানো উচিত ছিল। তারা কোন কাজ করে না। সারাদিন লোকজন নিয়ে বাজারে বসে থাকে। তাদের বেশি করে পেটালেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের আইনজীবী আবু সায়েম বাংলানিউজকে বলেন, কাউকে মারধর করার কোনো অধিকার নেই এসিল্যান্ড বা কোন কর্মকর্তার। যদি কেউ করে থাকেন তবে সেটা হবে বেআইনী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এনটি