সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে রাজধানীর শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে গেলে দেখা যায়, জনমানবশূন্য দোকানগুলোতে ঝুলছে অনেক ফুল। এর মধ্যে বসন্তের ফুল গাঁদার আধিক্যই বেশি।
পাশাপাশি থাকা তিন দোকান শেফালী ফুল ঘর, অনিকা পুষ্প বিতান, ইকো ফ্লাওয়ার শপ- প্রতিটিই বন্ধ। এর মধ্যে অনিকা পুষ্পালয়ের বাইরে ঝুলছে গাঁদা ফুলের মালা। অযত্নে থাকা হলুদ গাঁদা ফুলগুলোও ইতোমধ্যেই ধারণ করেছে কালচে রঙ। শাপলা পুষ্প কেন্দ্রের সামনেও একই দৃশ্য।
এছাড়া ফুল বাহার পুষ্প কেন্দ্র, নিউ ফুলতলা ফ্লোয়ার হাউস, ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপ, অহনা ফুল কুটির, ফাতেমা পুষ্পালয়, ফুলশয্যা, নীলকণ্ঠের সামনে দেখা মিললো একই দৃশ্যের।
শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির তথ্য মতে, শাহবাগ মোড় থেকে শিশু পার্কের গেট ও শাহবাগ থানা গেট পর্যন্ত সব মিলিয়ে ফুলের দোকান রয়েছে ৫১টি। গত ২৬ মার্চ থেকে যার সবগুলোই এখন বন্ধ।
খোলা থাকা অবস্থায় প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হতো। সে হিসেবে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকার ফুল বিক্রি হতো। ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যেই সব মিলিয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকার কারণে এ ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়াবে ২৫ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫১টি ফুলের দোকান রয়েছে। যার প্রতিটিতে দৈনিক কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হতো। মানে বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিনি আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হবে। ’
তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হওয়ার কারণে ফুলের বিশেষ চাহিদা থাকে। যার জন্য ফুল স্টকও করেছিলাম। কিন্তু সরকার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করায় বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। সরকার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা সহমত পোষণ করে দোকান বন্ধ রেখেছি। সরকারি ঘোষণা এলে তারপর দোকান খুলবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
ডিএন/এফএম