সংশোধিত সিডিউলের আগেই সম্পন্ন হলো সর্বশেষ পিলারের কাজ। তাই দেশি বিদেশি প্রকৌশলীদের মধ্যে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ আজ।
মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলীরা জানান, এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের একটি খবর। পদ্মাসেতুর সব পিলারের কাজ শেষ হয়ে গেল। পিলারের কাজ শুরুর দিকে তলদেশে স্বাভাবিক যে মাটি পাওয়ার কথা, সেটি মেলেনি। সেতুর পাইলিং কাজ শুরু হলে বিষয়টি টের পান প্রকৌশলীরা। এ জন্য আটকে গিয়েছিল ২২টি পিলারের কাজ। সেসময় ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ পদ্ধতিতেই বসানো হয়ছে পদ্মাসেতুর বেশকিছু পিলার। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই। পদ্মাসেতু একটি মজবুত সেতু হবে এবং কমপক্ষে ১০০ বছর টিকবে।
তারা আরো জানান, সবশেষ পিলারের এখন চলবে কিউরিং, তিনদিনের মধ্যে এটি শক্ত আকার ধারণ করবে। সপ্তাহ কাল পরেই এটি ওজন নেওয়ার সক্ষমতা পাবে। চলমান সর্বশেষ পিলারের কাজ শেষের মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করলো পদ্মাসেতু।
এদিকে, গত শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর ২৭তম স্প্যান বসানো হয়। ফলে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৪০৫০ মিটার। বর্তমানে ৩৯টি স্প্যান আছে প্রকল্প এলাকায়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
আরএ