ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৫ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে জিপিও-প্রধান ডাকঘর খোলা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২০
৫ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে জিপিও-প্রধান ডাকঘর খোলা 

ঢাকা: আগামী ৫ এপ্রিল থেকে দেশের সব জিপিও, প্রধান ডাকঘর জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সীমিত পরিসরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। 

এসময় এ সব ডাকঘর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের লেনদেনের পাশাপাশি সীমিত আকারে ই-কমার্স, মোবাইল মানি অর্ডার এবং পার্সেল সেবা পাওয়া যাবে।

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে জনস্বার্থে ডাকসেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জনস্বার্থে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে ডাকঘর খোলা রাখতে বিভাগটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা ম. শেফায়েত হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গৃহীত সিদ্ধান্তের আওতায় উপজেলা ডাকঘর সীমিত পরিসরে উপর্যুক্ত সেবার জন্য খোলা থাকবে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেল বা ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।

জেলা পর্যায়ে জরুরি ডাক পরিবহন সেবার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে ডাক বিভাগের নিজস্ব মেইল গাড়ি শুধু দিবাভাগে চলাচল করবে; উপজেলা পর্যায়ে মেইল চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় পোস্টমাস্টার জেনারেল/ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে সাব-পোস্ট অফিসগুলো সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে; এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেলরা অফিস নির্দিষ্ট করবেন।  

ক্যাশ সঞ্চালন ও ট্রেজারি লেনদেনের জন্য ডাক বিভাগের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে চলাচল করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ট্রেজারি লেনদেন ও নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নেবেন।  

ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণ ও পাঠানোর ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও করোনা ভাইরাস মোকাবিলা সংক্রান্ত সামগ্রী অগ্রাধিকার পাবে। সব ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণের সময় ডাকদ্রব্যের গায়ে প্রেরক ও প্রাপকের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ই-কমার্স ও পার্সেল শুধু বিতরণকারী ডাকঘর থেকে (Window Delivery) গ্রাহক গ্রহণ করতে পারবেন। ঘরে ঘরে কোনো ডাকদ্রব্য বিতরণ করা হবে না। ই-কমার্স ও পার্সেলের প্রাপককে সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে ডাকদ্রব্য সম্পর্কে মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে।  

পারস্পরিক ডাক বিনিময় (Radial System) পদ্ধতিতে জিপিও ও প্রধান ডাকঘরকেন্দ্রিক ডাক বাছাই, ডাক ব্যাগ বন্ধন ও ডাক পাঠাতে হবে।

সব স্তরের কর্মচারীদের পাওনা বেতন ভাতাদি সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। সব অবসরভোগীদের অবসর ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে; ক্ষেত্রমত অবসরভোগীরা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে অবসর ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।   

ডাক অধিদপ্তরসহ সব প্রশাসনিক দপ্তর সীমিত পরিসরে কার্য পরিচালনা করবে।  

মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় ডাকঘরগুলোতে কর্মচারীদের অফিসে যাতায়াতের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক পরিবহন সুবিধা স্থানীয় পোস্টমাস্টার জেনারেল/ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলরা নিশ্চিত করবেন।  

উপজেলা পর্যায়ের ডাকসেবা, সঞ্চয় ব্যাংক লেনদেন ও মেইল পরিবহনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল এবং পরিদর্শকরা নিবিড় তদারকি নিশ্চিত করবেন।   

ছুটিকালীন সময়ে ডাকঘরে কর্মরত সবাইকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান নিবিড় তদারকি নিশ্চিত করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।