ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দূরত্ব না মেনেই নীলফামারীতে চলছে হাট-বাজার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
দূরত্ব না মেনেই নীলফামারীতে চলছে হাট-বাজার

নীলফামারী: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় নীলফামারীতে খোলা মাঠে সীমিত আকারে হাট বসানো হলেও অধিকাংশ হাট-বাজারে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ফলে জেলায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। 

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় মাছ-মাংস ও সবজির বাজার খোলা মাঠে সরিয়ে নেওয়া হলেও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। প্রতিদিনই বাজারে মানুষের ভিড় লেগেই আছে।

উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ এলেই সরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতাদের। আবার চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের জটলা। দেখে মনে হয়, এ বাজারে চোর-পুলিশের খেলা চলছে।

সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, খোলা মাঠের বাজারগুলো প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। চেষ্টা করেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের করোনার ঝুঁকির বিষয়টি বোঝানো যাচ্ছে না।  

একইভাবে জেলার ডোমার উপজেলায় শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে দিনব্যাপী সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ ঘটিয়ে হাট চালিয়ে যাচ্ছেন ইজারাদাররা। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে হাজার হাজার জীবন।

ওই হাটের ইজারাদার হাসান এরশাদুল হাসিব দিপু দৃশ্যমান স্থানে নীতিমালা ও টোল আদায়ে মূল্য তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও না টাঙানো ও জরিমানার বিষয়টি স্বীকার করে বাংলনিউজকে বলেন, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুধু কাঁচাবাজার চালানো কথা বলা হয়েছে। এখানে অন্য কিছু বিক্রি হচ্ছে না।

ডোমার ইউএনও শাহিনা শবনব বাংলনিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে ওই ইজারাদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমরা গেলেই তারা সবকিছু ঠিকঠাক করে চলে। আর চলে এলেই তারা আবার অনিয়ম শুরু করে। তারপরও আমরা বিষয়টি আবার দেখছি।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নীলফামারীর ডিমলায় কাঁচাবাজার খোলা মাঠে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্ত সেখানেও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।  

এদিকে ডিমলা ইউএনও জয়শ্রী রানী রায় সামাজিক দূরত্বের কথা ভেবে কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে সরকার নির্ধারিত জায়গা থেকে সরিয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে কাঁচাবাজার স্থান্তরিত করা হয়।

ইউএনও জয়শ্রী রানী রায় বাংলানিউজকে বলেন, এখন থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব শিথিল না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের খোলা মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকার নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী এখানে কাঁচাবাজার পরিচালিত হবে। তবে সরকারি এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের জেল-জরিমানা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।